এম এরশাদুর রহমান
জাফর আলম চৌধুরী, রাজনীতিবিদ,
পিতা: মরহুম হাজী রৌশন আলী মাতাব্বর। মাতা: রৌশন জামান। জন্মতারিখ: ১৯৩৯। জন্মস্থান: হোয়াইক্যং। দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। ১ম স্ত্রী: শাহজাহান বেগম। সন্তান: ১. রাশেদা চৌধুরী, ২. জাহাংগীর চৌধুরী, ৩. আলমগীর চৌধুরী। ২য়
স্ত্রী: পারভিন জাফর, মেয়ে: সাজেদা চৌধুরী জাপ্পি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ওনাদের বাড়ী হানাদার বাহিনী পুড়িয়ে দেয়। ওনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। তিনি ১৯৭২ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ছিলেন। ১৯৯১ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি একজন শান্ত স্বভাবের মানুষ।
চোখের পানি
এম এরশাদুর রহমান
চোখের পানি যেতে যেত
আর নেই কো বাকি ।
কোথায় তুমি লুকিয়ে গেলে
আমাদের দিয়ে ফাঁকি ।
এই সময়ে তোমাকেই
খুব বেশি দরকার ।
তোমার তরে কাঁদে
নাফ নদী পারাবার ।
কবিতায় তোমায় স্মরি
কেউ স্মরে কাজ কথায় ।
তুমি কাজের কাজী
কাজ করছ সবটাই ।
“অশ্রুর প্লাবন”
এম এরশাদুর রহমান
ইহকালে তোমার
পাই না দিতি।
মনে পড়ে স্মৃতি
তোমার নিত্য নিতি ।
দু’চোখে সৃজে
অশ্রুর প্লাবন ।
হৃদয়ে করে,
ব্যথার তরী আরোহন।
যখনি জ্ঞান ঘরে
দেয় মোদের ছুটি।
তখনি মনে পড়ে তোমার
হৃদয় যায় টুটি ।
পুলকিত হৃদে
বলতে পারি না বাদ।
তোমায় একবার দেখতে
বারংবার জাগে সাধ।
“রূপময় চেহারাটা”
এম এরশাদুর রহমান
মিসমার করে দিয়েছে
বুকের সব আমোদ।
স্মরলে সে কথা
বেদনায় ফাটে বুক ।
রূপময় চেহারাটা
স্মৃতিতে উঠে কুৎসিত।
মনে পড়ে পই পই
তার গাওয়া দুঃখু গীত ।
আজ্ঞা দিত দৈনন্দিন
সে আমারি ।
আমি যেন কাউকে,
অকারণে না মারি ।
স্মৃতি
এম এরশাদুর রহমান
কোথায়, কেমন আছেন
জানতে করে ইচ্ছে।
আপনাকে খুঁজে পাইনা
খুঁজলে ও সারা বিশ্বে।
হৃদয় মোচড় দিয়ে উঠে
আপনাকে যবে স্মরি।
আপনার আনা অভিধানটি
আজো আমি পড়ি।
আপনার স্মৃতি স্মরণ করি
জীবনের ফাকে ফাঁকে।
খোদার কাছে প্রার্থনা করি
আপনায় যেন সুখে রাখে।
কল্যাণ
এম এরশাদুর রহমান
দুনিয়ার মায়া ছাড়তে হবে
ঠিকানা মাটির নিচে।
প্রতিদিন দেখছ তুমি
তা কালামে বলে দিছে।
জাফর চৌধুরী গেল যে,
আর কি আসবে ফিরে?
সে সময় তোমার তরে
আসছে ধীরে ধীরে
এই ধরাটা আমি।
পরীক্ষার হলই বুঝি।
চল ক্ষনিকের মায়া ছেড়ে
বেশির কল্যাণে খুঁজি।
জ্ঞান
এম এরশাদুর রহমান
মানুষের কাছে পৌছে দাও
জ্ঞানের অমৃত বানী ।
তারা যেন খেতে পারে
কাওছারের পানি।
চার দিকে ছড়িয়ে পড়ুক
সত্য সুন্দরের কথা।
আইয়ামে জাহেলিয়াতের মত
না দেয় যেন ব্যথা।
অন্তরের গভীর থেকে
জ্ঞানের আহবান অনুভব।
তোমার ভিতর বাস করে
দয়াময় মহান রব।
জাফর চৌধুরী
সেই সব কথাই বলতেন।
নিজে ও তিনি
সুন্দর এর পথে চলতেন।
স্মৃতির খাতায়
এম এরশাদুর রহমান
স্মৃতির দালান তুলতে গিয়ে
কান্নায় পারিনা তুলতে।
স্মৃতি দালান তুললে ও
আপনায় পারিনা ভুলতে।
কোথায় আছেন হে বীর
আছেন কেমন না জানি ।
আপনার স্মৃতি আমার ডাকে
আজো দিয়ে হাত ছানি ।
স্মৃতির মাঝে জেগে আছেন
টুপি দিয়ে মাথায়।
আপনার স্মৃতি বন্দি আছে
আমার ডায়েরী খাতায়।
সুখে রাখেন হে খোদা
দাও চৌধুরী কে আরাম।
ওনার জন্য করে দাও
জাহান্নামকে হারাম ।
সহায়
এম এরশাদুর রহমান
আল্লাহ তুমি সহায় মোদের
তুমি ছাড়া কে আছে।
যখন নিঃস্বাস ছুটে যাবে
তখন ভূমিই থাকবে পাশে।
সখা-সখি টাকা কড়ি
সবে দুরে যাবে।
একটু একটু চার দিন কেঁদে
সবে গোস্ত খাবে।
তাইত জানি জাফর চৌধুরী
তোমাকে করত স্মরণ ।
এই কারনেই জাফর চৌধুরীর
কষ্ট ছাড়া হল মরণ।
,,,,,,৷৷।।।।।।।।।।,,,,,,,,,,,,,
জাফর চৌধুরীর কথা থেকে
উপদেশ মুলক কবিতা
সফলতা
ব্যর্থতা পরাজয় নয়
সফলতার একটি ধাপ।
পরিশ্রমী ব্যাক্তির সাথে
পারেনা তাঁর বাপ।
সফলতা পরিশ্রম
এক সূত্রে গাঁথা ।
সেই রচনা করে
ইতিহাসের পাতা ।
হালাল
এই জীবনের হালাল আয়
মেটায় মানসিক তৃপ্তি ।
সবখানে ছড়িয়ে পড়বে
তোমার পূণ্যের দীপ্তি ।
রুচি বোধের বিকাশ হয়।
আনন্দ উপভোগ নির্মল ।
হালাল খাবার না পেলে
কাটাও খেয়ে নিরাপদ জল ।
প্রাত্যহিক প্রয়োজনে হালালের
সাথে থাক যুক্ত ।
ছোট ছোট পাপ থেকেও
থাকুন সদা মুক্ত ।
হালাল রিজিক হালাল কথা
হালাল তোমার চিন্তা।
হালালের মাঝে কাটুক
তোমার আমার দিনটা ।
কবি পরিচয়ঃ
এম এরশাদুর রহমান
সাধারণ সম্পাদক
কলতান সাহিত্য পরিষদ টেকনাফ।
০১৮১১৫৯০১৭১
Leave a Reply