হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিধবা নারীকে বিয়ের কথা বলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে । বিয়ে করতে বলায় শারীরিকভাবে নির্যাতনও করা হয়েছে ওই বিধবা নারীকে । এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রেমিক ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে ক্যাম্প ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে আসা রোহিঙ্গা বিধবা নারী উনচিপ্রাং ক্যাম্প-২২ এর ব্লক নং-সি৫এ বসবাস করে আসতেছে। ঞ নারীকে প্রতিনিয়ত প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসত একই ক্যাম্পের আবুর ছেলে ইব্রাহিম। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। গত ৩ বছর ধরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার বাড়িতে আসা যাওয়া শুরু করে এবং শফথের মাধ্যমে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে । বর্তমান সে ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা । সর্বশেষ গত ২৫ ডিসেম্বর রাত ৮ ঘটিকার সময় ইব্রাহিমকে ব্লকের লোকজন রাত ৮টার দিকে মহিলার বাড়ি থেকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে হেড মাঝি রফিকের কাছে হস্তান্তর করে । এই বিষয়ে হেড মাঝি ২৬ ডিসেম্বর শালিস ডাকলে শালিসে ইব্রাহিমের লোকজন ও তার আত্মীয় স্বজন এসে অমানবিক ভাবে মারধর করে দাঁত ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিধবা নারী । এই সময় মহিলাটির কাছে তাদের প্রেমের যথেষ্ট প্রমান থাকায় তার ব্যাবহৃত মোবাইলটি কেড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। উক্ত বিষয়ে ২৮ই জানুয়ারী ক্যাম ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করা হয়। উক্ত লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে ইব্রাহিম তার ভাই রহিম উল্লাহ এবং পিতা আবু মহিলাটিকে আরসা দিয়ে অপহরণ করার হুমকি দিয়ে আসতেছে । বর্তমান মহিলাটি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগতেছে বলে জানান৷
এই বিষয়ে ব্লকের লোকজন জানান, ইব্রাহিমের পরিবারেরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। সে নারীটাকে বিয়ে করবে বলে এতদিন ভোগ করে এখন তাকে উল্টে মারধর করতেছে। তাদের আইনের আওতায় না আনলে ব্লকের আরো মেয়েদের ক্ষতি করতে পারে সে।
Leave a Reply