কুতুবদিয়া কক্সবাজার প্রতিনিধি।
বাংলাদেশ প্রতিদিন ও এশিয়া টেলিভিশনের প্রতিনিধি মো. মিজানুর রহমানকে দিনদুপুরে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় করা মামলায় দ্বিতীয় আসামি কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কৈয়ারবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমগীর মাতবর হাজির হলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে কুতুবদিয়া আদালতের বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাঈদীন নাঁহী এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, কৈয়ারবিল মলমচর এলাকায় একটি অসহায় পরিবারের সদস্যদের উপর হামলাসহ তাদের লাশের মাংস খুজে না পাওয়ার প্রকাশ্যে হুমকির একটি ভিডিও বাংলাদেশ প্রতিদিন ও এশিয়া টেলিভিশনের প্রতিনিধি মো. মিজানুর রহমানের হাতে পৌছে। এর পেক্ষিতে সংবাদ প্রকাশে জন্য ভিডিওটি যাচাই-বাছাই করতে জড়িতদের সাথে গতকাল বৃহস্পতিবার যোগাযোগ করলে হুমকি দেন সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর। এটিকে ইস্যু করে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ক্যামরা, মোবাইল ও মানিব্যাগ চিনিয়ে নিয়ে এলোপাতাড়ি দেশীয় অস্ত্রের মাধ্যমে হামলা চালায়। এঘটনায় কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আওরঙ্গজেবকে প্রধান আসামি ও আজমগীর খান মাতবরকে দ্বিতীয় আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে কুতুবদিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন সাংবাদিক মিজানুর রহমান।
এছাড়া, আজমগীর খান মাতবর জামায়াতের একজন সংক্রিয় নেতা ছিলেন। এখনও জামায়াতের বায়তুল মালে চাঁদা দেন তিনি। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর নিজেকে বাঁচাতে কৌশলে আ’লীগে যোগদান করেন। তখন থেকে আ’লীগের ত্যাগী নেতাদের নির্মূল করার মিশনে লিপ্ত হয়। পাশাপাশি জমি দখলদার বাহিনী, মাদক কারবারি, ডাকাতি, অপহরণ সহ দ্বীপের বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত অপরাধীদের আশ্রয়দাতা হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছেন এ সন্ত্রাসী আজমগীর খান মাতবর।
এদিকে, সাংবাদিক আহত করার ঘটনায় উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর ও সন্ত্রাসী মোজাহিদুল ইসলাম সেলিমকে আটকের একদিন মাথায় জামিন দেওয়ায় হতাশ হয়েছে দ্বীপের সচেতন মহল। তারা জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তা নাহলে অপরাধীরা পার পেয়ে যাবে।
Leave a Reply