1. akashcoxmorning@gmail.com : admin :
সদ্য পাওয়া:
রামুতে এলাকাবাসীর ভালবাসায় সিক্ত হলেন প্রবাস ফেরৎ হাফেজ ওসমান সাংবাদিক হ’ত্যা’চেষ্টা মামলায় কৈয়ারবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের জামিন নামঞ্জুর সাংবাদিক হ’ত্যা’চেষ্টা মামলায় কৈয়ারবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের জামিন নামঞ্জুর মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ যুবলীগ নেতার ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন Kids Nasheed Academy ,এর ২০২৪ সেশনের সেট-আপ সম্পন্ন হয়েছে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিধবা নারীকে ধ’র্ষ’ণের অভিযোগ। হ্নীলা পানখালীতে ভিডিও কলে এসে স্কুল শিক্ষার্থীর আ’ত্ম’হ’ত্যা কাটাখালী রওজতুন্নবী (সঃ) দাখিল মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থিদের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন আশ্রয়ের নামে ঢুকে পড়েছে মিয়ানমারের ১৪ গোয়েন্দা রামু জনস্বাস্থ্য অফিসের কর্মচারী ইফতেখারের বদলী বাতিলের দাবী

উখিয়ায় চোরাই সিন্ডিকেট-কাস্টমস কর্মকর্তার কারসাজিতে পানির দরে মহিষের নিলাম: রাজস্ব বঞ্চিত সরকার

  • আপলোড সময় : Thursday, October 12, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের উখিয়ার সীমান্তে পাচারকারি সিন্ডিকেট-কাস্টমস কর্মকর্তার যোগসাজসে পানির দরে দায়সারা ভাবে ৬১ টি মহিষের নিলাম সম্পন্ন হয়েছে। এতে করে একদিকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে অন্যদিকে দূরদূরান্ত থেকে আসা প্রকৃত ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে ফিরে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
১২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১টায় নাটকীয় নিলাম দেখিয়ে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে ৮০লাখ টাকার মহিষ ৩০ লাখ ৮০ হাজার টাকায় আতাঁতের মাধ্যমে সিন্ডিকেট প্রধান উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ মনজুরকে পানির দরে নিলামে বিক্রি করে দিলেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। নাটকীয় নিলামে সর্বোচ্চ মূল্যে ডাককারী হিসেবে দেখিয়ে তাকে দেওয়া হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে দশটায় তড়িঘড়ি করে বালুখালী বিজিবি বিওপিতে নিলাম কার্যক্রম শুরু করেন। বালুখালী কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিয়ম অনুযায়ী ৬১টি মহিষের মূল্য ৮০ লাখ টাকা নির্ধারণ করেন।
তারও আগে ১০ অক্টোবর নিলামের আয়োজন করলেও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পর্যাপ্ত নিলাম মূল্য না হওয়ায় নিলাম বাতিল হয়।
একই ভাবে ১১ অক্টোবর বালুখালী কাস্টমস কর্মকর্তা এসে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে আকস্মিক ঘোষণা দেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজকের নিলাম হবে না।
এদিকে নিলাম ডাকে অংশ নিতে যাওয়া প্রকৃত ব্যবসায়ীদের অনেকেই উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের মেম্বার ফজল কাদের ভুট্রো সিন্ডিকেটের জিম্মীদশায় পড়ে সিকিউরিটির টাকা জমা পূর্বক অংশ গ্রহণ করে ও সরকারি মূল্যে ডাকে অংশগ্রহণ করতে পারেননি এমনটি অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। এ সময় সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কর্মকর্তা সুকান্ত কুমার দে এর ভুমিকা ছিল নিরব ও রহস্যজনক।
টানা তিনদিন নানা তালবাহানা করে কাস্টমস কর্মকর্তা সুকান্ত কুমার দে নিজের পছন্দ অনুযায়ী গড়া গরু মহিষ পাচারকারী সিন্ডিকেটের সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা এম এ মনজুরকে নিলাম ডাক পাইয়ে দেয়। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হলো।
সীমান্তের চোরাই পথে আসা মহিষগুলো পালংখালীর একটি সিন্ডিকেট ও জনৈক আওয়ামী লীগ নেতা এম. মনজুর তার আত্মীয়স্বজনদের দাবী করে মহিষগুলো ছাড়িয়ে নিতে নিলাম কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা চালায় এবং বাধা সৃষ্টি করার জন্য বিভিন্ন স্থানে তদবির শুরু করে অবশেষে ব্যর্থ হয়।
বালুখালী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছেন, মহিষগুলো স্থানীয়দের নয়। মিয়ানমার সীমান্ত থেকে চোরাই পথে আসার সময় ৬১ মহিষ জব্দ করা হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নিলাম ডাকে প্রায় সময় উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মেম্বার ফজল কাদের ভুট্টোর দাপটে নিলামে অংশ গ্রহণ করতে পারেনা স্থানীয় প্রকৃত ব্যবসায়ীরা। এছাড়া সে সীমান্ত পশু পাচার সহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত বলে স্হানীয় বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে নানা অপরাধের একাধিক মামলাও রয়েছে।
তার সিন্ডিকেটের কারণে প্রকৃত ব্যবসায়ী ও পেশাদার নিলাম ডাককারীরা যেমনি নিলাম ডাকে অংশ নিতে পারেন না। যার ফলে জব্দ মালামালের ন্যায্য মুল্য পাওয়া থেকে বারবার বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। লাভবান হচ্ছে স্থানীয় কাস্টমস কর্মকর্তা আর সিন্ডিকেট সদস্যরা।
তাদের মধ্যে একজন নিলামে অংশ নিতে আসা নাসির উদ্দীন বলেন, সারাদিনের অন্যান্য কাজ বাদ দিয়ে নিলামের খবরে অংশ নিতে নির্দিষ্ট সময়ে আগে ছুটে আসি। কিন্তু স্থানীয় কাস্টমস কর্মকর্তা ও সিন্ডিকেট সদস্যদের চাপের মুখে নিলামে অংশ নিতে পারিনি। যা খুবই বিরক্তিকর ও দুর্ভাগ্যজনক।
এ ব্যাপারে বালুখালী ঘাট কাস্টমস কর্মকর্তা সুকান্ত কুমার দে বলেন, ১০ ও ১১ অক্টোবর নিলাম হওয়ার কথা ছিলো, কিন্তু উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ও সরকারি দলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের অনুরোধ অনুযায়ী ১২ অক্টোবর যথাযথ নিয়মে নিলাম সম্পন্ন করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাচারকারী সিন্ডিকেটের সেকেন্ড ইন কমান্ড আওয়ামী লীগ নেতা ফজল কাদের ভুট্টো মেম্বার নিলামে অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ীদের নেগোজিয়েশনের ভাগের টাকা বিতরণ করছে।
ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা এম এ মঞ্জুর থেকে ফজল কাদের ভূট্টো ব্যবসায়ী ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করার জন্য নেগোজিয়েশন ৫ লক্ষ টাকা ভাগিয়ে নেন । এর মধ্যে ২ লক্ষ টাকা কাস্টমস কর্মকর্তাকে দেয়। ২ লক্ষ টাকা ব্যবসায়ীদের বিতরণ করেন। এক লক্ষ টাকা ফজল কাদের ভুট্টোর পকেটেস্হ করেন। অপরদিকে পানির দামে ৬১ টি মহিষ নিলাম ডাকের বিষয়টি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে সচেতন মহলে নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়া সহ উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি উঠেছে।
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কক্সবাজার অফিসের ডেপুটি কমিশনার আল আমিন এ প্রসঙ্গে বলেন, কাস্টমসের নিলাম আইনে মহিষগুলো পঁচনশীল দ্রব্যের তালিকায় বিধায় প্রকাশ্যে নিলামে সর্বোচ্চ ডাক প্রদানকারীকেই দেওয়ার নিয়ম। এক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কেউ যদি অনিয়ম করে দেখে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, উখিয়ার ঘাট কাস্টমস কর্মকর্তা সুকান্ত কুমার দে একজন হিন্দু ধর্মালম্বী অনুসারী হয়ে মসজিসে বসে কিভাবে নিলাম কাজ সম্পন্ন করেছে তা নিয়ে স্থানীয় আলেম সমাজের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর বালুখালী ৩৪ বিজিবির সদস্যরা সীমান্তে টহলরত অবস্থায় বিগত ৯ অক্টোবর মিয়ানমার থেকে সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়ে আসার সময় ৬১টি মহিষ জব্দ করে। জব্দ তালিকা বালুখালী কাস্টমস শুল্ক গুদাম কর্মকর্তাকে নিলামের জন্য প্রেরণ করেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন....
© সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০১৯ কক্স মর্নিং
Site Customized By NewsTech.Com