নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি::আজিজুল হক রানা
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে বিজিবির সোর্স টমটম চালক জহুর আলমকে হত্যার অন্যতম পলাতক আসামী জাহাঙ্গীর আলম’কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে বিজিবির সোর্স জহুর আলম হত্যা ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ১১ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ১৫ মে সোমবার সকালে এ মামলা দায়ের করা হয় ঘটনার ২ দিন পর। যার বাদী নিহতের স্ত্রী মমতাজ বেগম। (মামলার নম্বর তাং: ১৫/৫/২০২৩)
হত্যাকান্ডের পরের দিন সকালে ৪ আসামীকে খুনের সাথে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার করে।
পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে ১নং আসামি রায়হাকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই পাভেল মল্লিক সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান পরিচালনা করে আজ ২৫ জুলাই মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে উক্ত মামলার পলাতক আসামি ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু উত্তর পাড়ার নুরুল কবিরের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম (১৯) কে বাইশপাড়ী থেকে এলাকা প্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।
নিহতের স্ত্রী মমতাজ বেগম বলেন, তার স্বামী জহুর আলম মূলত বিজিবি’র সোর্স। পাশাপাশি টমটমও চালাতেন তিনি। মামলার আসামীরা সীমান্ত চোরাকারবারী।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) টানটু সাহ জানান, জহুর আলমকে হত্যার ঘটনায় থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা রুজু হওয়ার পর এ পর্যন্ত থানা পুলিশের অভিযানে ৬ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের কোর্টে চালান করা হয়েছে। অন্যান্য পলাতক আসামীদেরকে ধরতে পুলিশের অভিযান এখনো অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য আটক আসামীদের মধ্যে জমির ও ইসমাঈল গভীর রাতে ফোন করে জহুর আলমকে ঘুম থেকে তুলে ডেকে নিয়ে যায় সীমান্তের ৩৩ নম্বর পিলার এলাকায়। সেখানেই তাকে মূখে কাপড় ঢুকিয়ে লাঠি ও রড় দিয়ে উপর্যুপূরি আঘাত করে। বিজিবি’র সহায়তায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসারত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
Leave a Reply